Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

চিতা সাজাতে হলো টায়ার, প্লাস্টিক আর আবর্জনা দিয়ে অন্যান্য

চিতা সাজাতে হলো টায়ার, প্লাস্টিক আর আবর্জনা দিয়ে

মাত্র কয়েক দিন আগেই বাসের মধ্যে মারা যাওয়া স্ত্রীর মৃতদেহ এবং সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে বাস থেকে জঙ্গলের মধ্যে নামতে বাধ্য করা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তিকে। গত কয়েকদিন ধরেই উড়িশাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক অমানবিক ঘটনার কথা সামনে এসেছে। এবারে সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ভারতের মধ্যপ্রদেশের আরো একটি ঘটনা। স্থানীয় শ্মশান থেকে অনুমতি না পাওয়ায় আবর্জনা দিয়ে চিতা সাজিয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ সৎকার করতে হল এক আদিবাসী ব্যক্তিকে।

একটি সর্বভারতী ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের নীমাচ জেলার রতনগড় গ্রামে শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

অভিযোগ ছিল, জগদীশ ভিল নামে ওই ব্যক্তিকে শুক্রবার গ্রামের শ্মশানে তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ, তাঁর কাছে স্ত্রীর সৎকার করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ছিল না। এমনকি স্ত্রীর মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার জন্যও কেউ কেউ তাঁকে পরামর্শ দেয়। 

আর্থিক সাহায্য চেয়ে এর পরে গ্রামের অনেকের কাছেই অনুরোধ করে ওই আদিবাসী পরিবারটি। কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি। এর পরে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিক, গাছের ছোট ডাল, ফেলে দেওয়া কাগজের মতো আবর্জনা কুড়িয়ে স্ত্রীর দেহ সৎকারের জন্য চিতা সাজান জগদীশ। 

প্রথমে পরিবারটি ভেবেছিল দেহটি সমাহিত করবে। কিন্তু এক সমাজসেবীর সাহায্যে কিছু কাঠের টুকরো পান তাঁরা। তার সঙ্গে আবর্জনা জড়ো করে কোন মতে দেহ সৎকার করা হয়।

খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। দেহ সৎকারের জন্য কিছু কাঠও পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। কারণ ততক্ষণে দাহকাজ প্রায় শেষ। 

যদিও জেলা প্রশাসক দাবি করেছেন, ওই পরিবারকে যারা শ্মশানে দেহ সৎকারে অসহযোগিতা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: এবেলা